Pages

Thursday 28 April 2016

ম্যাজিক ! চলে যাবে সানট্যান

প্রচণ্ড গরমে চারদিক ঝলসে যাচ্ছে. তবে গরম বলে ঘরে বসে থাকলে তো চলে না। কাজের প্রয়োজনে অনেককেই রোজ বেরোতে হয়।কিন্তু সূর্যদেব যে ভাবে রেগেছেন, তাতে বেরোলেই জ্বলন্ত দৃষ্টি হানছেন।যার ফল সান ট্যান, ত্বকের অকাল বার্ধক্য, র‍্যাশ, শুষ্ক নির্জীব ত্বক, বলিরেখা। প্রখর দাবদাহ থেকে ত্বককে বাঁচাতে রইল কিছু কার্যকরী টিপস।

শসা, লেবুর প্যাক
শসা বেটে তার সঙ্গে পাতি লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানান। শসা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর পাতিলেবু হল ভিটামিন সিতে ভরপুর। এতে থাকে সাইট্রক অ্যাসিড। যা ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে খুব উপযোগী।ভিটামিন সি অ্যান্ট এজিং এজেন্টের কাজ করে।
রোদ থেকে এসে ভালভাবে মুখ পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন. তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন. প্রতিদিন এই ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করলে, এই গরমেও আপনার ত্বক থাকবে সজীব।


পেঁপে-মধুর প্যাক

পাকা পেঁপে সান ট্যান তুলতে খুব উপযোগী। পেঁপেতে থাকা উত্সেচক শুধু ত্বকের কালো ভাব দূর করে তাই নয়, এতে থাকা ভিটামিন রং উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তোলে। আর মধুর ব্যবহার দীর্ঘদিনের। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। ক্ষতিকর সূর্যরশ্মির প্রভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে অকাল বার্ধক্য, বলিরেখা পড়া আটকাতে পারে মধু।
পেঁপে পেস্ট করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে মাখুন। ৩০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে নিজেরাই দেখবেন ফ্রুট প্যাকের কামাল।

মসুরির ডাল ও টমেটো, অ্যালোভেরার প্যাক


দাগ, ছোপ তুলতে মুসুরির ডালের জুড়ি মেলা ভার। প্রচণ্ড পরিমাণে সান ট্যান হলে মুসুরির ডাল ব্যবহার করুন। এতে মেশান অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা ত্বকে র‍্যাশ, জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। টমেটো ত্বকের জৌলুস ফিরিয়ে আনে।
মুসুরির ডাল আধঘণ্টা জলে ভিজিয়ে পেস্ট করে তাতে অ্যালোভেরা ও টমেটো পেস্ট মিশিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার করে মেখে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

কলা-দই প্যাক
বলিরেখা রুখতে কলার প্যাক খুব কার্যকরী। কলায় থাকা ভিটামিন ত্বককে উজ্জ্বল করে।কালো ছোপ দূর করে। কমলালেবুতে থাকে ভিটামিন সি। যা অ্যান্টি এজিং। দই প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে।
কলা চটকে তাতে দই ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানান। মুখ পরিষ্কার করে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।

ওটমিল প্যাক
অ্যালার্জিক, র‍্যাশ-এ ভরা ত্বকে ওটমিল খুব উপকারী। ওটমিল দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখ ভালভাবে ধুয়ে প্যাক লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।







Tuesday 26 April 2016

ভারতের মিনি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে চলুন পান্নায়




আমেরিকার বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কথা তো সকলেই জানেন কিন্তু জানেন কী ভারতেও এমন একটি রঙিন গিরিখাত আছে, যা বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কথাই মনে করিয়ে দেয় গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, কোয়ার্টজ, ডলওমাইট-এর সংমিশ্রণে এই ক্যানিয়ন  ভীষণ রঙিন ও অবর্ণনীয় সুন্দর

মধ্যপ্রদেশের ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট খাজুরাহো থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরেই গন্তব্যস্থলটি। কেন নদী থেকে সৃষ্ট রেনে নদীর গিরিখাত পান্না জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে জঙ্গুলে পথ পেরিয়ে সেখানে গেলে মুগ্ধ হতে বাধ্য হবেন পর্যটকরা জঙ্গুলে পথে অভ্যর্থনাকারী হিসেবে নীল গাই ও ময়ূরেরও দেখা মিলতে পারে। পান্না জাতীয় উদ্যানের উত্তরে কেন ও খুদার নদীর সংযোগস্থলে সৃষ্টি রেনে জলপ্রপাতের। এখানেই গড়ে উঠেছে কেন ঘরিয়াল স্যানচুয়ারি
রেনে নদীর নামকরণ রেনি বা বর্ষার মরশুম থেকে বর্ষায় এই জলপ্রপাতের প্রবল জলধারায় ভেসে যায় ৩০ ফুট গভীর গিরিখাতপাথরে ধাক্কা খেয়ে প্রবল শব্দ প্রতিধ্বনিত হয় জঙ্গল জুড়ে যৌবনবতী নদী ও জলপ্রপাতের বাষ্পীভূত জলকনায় সাদা হয়ে যায় চারপাশ।সেই রূপ দেখার মতো।
কিন্তু শীত ও গ্রীষ্মে এই নদী হয়ে যায় সরু ফিতে জলপ্রপাতও শুকিয়ে যায় আর তখনই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে লাল, ধূসর, কালো, হলদে রঙের মিশেলের এক অদ্ভূত সুন্দর গিরিখাত প্রকৃতির সে আর এক রূপ


পান্না জাতীয় উদ্যানের বনকর্মীরা জানালেন, লক্ষ লক্ষ বছর আগে এখানেই নাকি আগ্নেয়গিরি ছিল বহুদিন তা মৃত আগ্নেয়গিরির খোলা মুখে এখন নদীর জল জমে থাকে ভূগোলের ছাত্ররা এখানে সার্ভের কাজে আসেন

আসেন পর্যটকরাও কিন্তু খাজুরাহোর মন্দিরের কথা সকলে জানলেও, সেভাবে প্রচার নেই রেনে জলপ্রপাতেরসম্প্রতি বন দফতরও এই এলাকার পর্যটনের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে



কী ভাবে যাবেন
খাজুরাহো বিমানবন্দর থেকে রেনে জলপ্রপাতের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। ট্যাক্সি ভাড়া করে সেখানে যাওয়া যায়।
সাতনা রেলস্টশনে থেকে খাজুরাহোর দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। রেলপথে হাওড়া, দিল্লি, মুম্বই, ভূপাল সব জায়গা থেকেই সাতনা পৌঁছনো যায়। সেখান থেকে সড়কপথে খাজুরাহো।



Tuesday 19 April 2016

হরিণের ঝাঁক ও পাখির কুজনে অসাধারণ বাঘের ডেরা কাণহা

'পোজ ' দেওয়ার জন্যই যেন দাঁড়িয়েছিল সে...

নির্ভয়ে  খেলা 

কানহার  জঙ্গুলে  পথ 

ওই ঘাস টাই  ভালো 

অজানা পথ 

দূরে কোথাও 

পেখম মেলো 

কিসের অপেক্ষায় 

মালাবার পাইড  হর্নবিল (malabar pied hornbill) 

Saturday 16 April 2016

গরমে হয়ে যাক এক চুমুক ঠাণ্ডা স্মুদি

google.com

গরমে হয়ে যাক এক চুমুক ঠাণ্ডা স্মুদি


বৈশাখের গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোদে বেরোলেই নাভিঃশ্বাসসূয্যিমামার তেজ কমানো আমাদের হাতে নেই কিন্তু শরীরের জ্বালা জুড়ানোর উপায় আছে কী ভাবে সেটাই জানুন…

ম্যাঙ্গো স্মুদি

লাগবে- পাকা আম কুঁচি, আনারসের রস,মধু, টক দই, আদা ও বরফ
আম ছোট ছোট করে কেটে এক ঘণ্টা ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন এবার মিক্সিতে আনারসের ঠাণ্ডা জুস, টক দই, আমের টুকরো, মধু ও সামান্য আদা কুঁচি ও বরফ দিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে বা ফেটিয়ে নিন তৈরি আপনার ম্যাঙ্গো স্মুদি

কলা-আনারসের স্মুদি
লাগবে-কলা, আনারস, মধু, বরফ


কলা, আনারস টুকরো করে কেটে ডিপ ফ্রিজে ঠাণ্ডা করে নিন ব্লেন্ডারে কলা, আনারস টুকরোর সঙ্গে আনারসের জুস, বরফ কুঁচি ও মধু দিয়ে ব্লেণ্ড করে নিন।
কলা-চকোলেটের স্মুদি

লাগবে-কলা,  চকোলেট সিরাপ, ঘন ঠাণ্ডা দুধ, বরফ কুঁচি, মধু

ফ্রিজে ঠাণ্ডা করে রাখা কলার টুকরোর সঙ্গে, চকোলেট সিরাপ, ফুটিয়ে ঘন করা ঠাণ্ডা দুধ,মধু ও বরফ মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। রেডি চকোলেট স্মুদি। পুষ্টিতে ভরপুর আর, ইয়াম্মি।

ফ্ল্যাবি ফেস-এর সমস্যা থেকে মুক্তি ঘরোয়া উপায়েই



চিকিত্সক বলেছেন কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন কমাতে হবেতারওপর ইদানীং মোটা হয়ে যাওয়াতাঁকে দেখতেও যে খারাপ লাগছে বুঝতে পারছিলেন জুয়েল ওজন কমাতে তাই ভাজাভুজি খাওয়া কমিয়ে, সকালে হাঁটা ও জগিং শুরু করেছিলেন তিনি। এতে ফল মিললেও, যে সমস্যাটা জুয়েলকে ভোগাচ্ছে তা হল ফ্ল্যাবি ফেসভুঁড়ি কমলেও, গাল সেই ফোলা
গাল নিয়ে সমস্যা ঝুম্পিরও দেহের গড়ন ভালোই ত্বকে ঔজ্জ্বল্যও আছে কিন্তু গাল যেন আপেলের মতো ফোলা ক্যামেরায় ছবি তুললে মুখটা তাই কিছুতেই ভাল আসে নাসামনে আবার দিদির বিয়ে সেও পড়েছে চিন্তায়।
আসলে জুয়েল ও ঝুম্পির মতো সমস্যা রয়েছে অনেকেরইকারন, ফ্ল্যাবি ফেস সৌন্দর্যে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়
এই সমস্যা সমাধানে রয়েছে কয়েকটি সহজ উপায় সেগুলি অভ্যাস করলেই ফল মিলবে হাতেনাতেজেনে নিন কী করে আপনি হয়ে উঠবেন সুন্দর।

বেলুন ফোলানো

প্রতিদিন নিয়ম করে বেলুন ফোলান বেলুনে জোড়ে ফু দিলে মুখমণ্ডল ও মুখগহ্বর সংলগ্ন মাংসপেশির ব্যায়াম হয় এতে গালে জমা অতিরিক্ত মেদ কমবে




গরম তোওয়ালে দিয়ে ট্রিটমেন্ট
স্টিম বাথ নিলে শরীরে টক্সিনের পাশাপাশি মেদ কিছুটা হলেও ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়কেউ জিমে
গিয়ে স্টিম বাথ নিতে পারেন তা সম্ভব না হলে বাড়িতেই পাত্রে জল গরম করুন একটি তোওয়ালে গারাম জলে ভিজিয়ে হাল্কা নিংড়ে ভেপার নিন। এতে মুখের ময়লা, তেল, টক্সিন বেরিয়ে যাবে গরম বাষ্পে ঘাম হবে মুখের মেদ ঝরবে



চিউইং গাম
চিউইং গাম চিবালে গালের ভাল ব্যায়াম হয়প্রতিদিন দুবার অন্তত ২০ মিনিট ধরে সুগার ফ্রি গাম চিবান এতে মুখমণ্ডলের অতিরিক্ত মেদ ঝড়বে, মুখটা টোনড হবে

ফেস ম্যাসাজ
ভাল ক্রিম বা অলিভ অয়েল দিয়ে নিয়মিত মুখে ম্যাসাজ করলে ফ্ল্যাবি চিকস আর থাকবে না ত্বকও হয়ে উঠবে সুন্দর ও তরতাজা

ব্যায়াম
ঠোঁট চেপে মুখের ভিতর থেকে বাতাস ছাড়ার চেষ্টা করুন উপরে, বাঁ পাশে ও ডান পাশে সেই বাতাস ছাড়ার চেষ্টা করুন দশ সেকেন্ড বাতাস মুখের মধ্যে ধরে রেখে ছেড়ে দিনএতে ফোলা গাল তাড়াতাড়ি কমে যাবে

স্মাইলিং ফিস এক্সারসাইজ
ঠোঁট বন্ধ করে দুদিকের গাল ভিতরে ঢুকিয়ে নিন মুখটা দেখতে লাগবে অনেকটা মাছের মতো এভাবে ১০ সেকেন্ড রাখুন পরপর পাঁচবার করুন এই ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী
গারগেল
প্রতিদিন নিয়ম করে গারগেল করুন এতে মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো খাকবে গালও ফুলবে না

তবে এই সমস্ত ব্যায়াম অভ্যাসের পাশাপাশি প্রতিদিন প্রচুর পরিষ্কার জল পান করতে হবে

বর্জন করতে হবে অতিরিক্ত চিনি, নুন ও তেল মশলাদার খাবার