আমেরিকার বিখ্যাত
গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কথা তো সকলেই জানেন। কিন্তু জানেন কী ভারতেও এমন একটি রঙিন গিরিখাত আছে, যা বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কথাই মনে
করিয়ে দেয়। গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, কোয়ার্টজ, ডলওমাইট-এর সংমিশ্রণে এই ক্যানিয়ন ভীষণ রঙিন ও অবর্ণনীয় সুন্দর।
মধ্যপ্রদেশের
ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট খাজুরাহো থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার
দূরেই গন্তব্যস্থলটি। কেন নদী থেকে সৃষ্ট রেনে নদীর গিরিখাত। পান্না জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে জঙ্গুলে পথ পেরিয়ে সেখানে গেলে মুগ্ধ হতে
বাধ্য হবেন পর্যটকরা। জঙ্গুলে পথে অভ্যর্থনাকারী হিসেবে নীল গাই ও ময়ূরেরও দেখা
মিলতে পারে। পান্না জাতীয়
উদ্যানের উত্তরে কেন ও খুদার নদীর সংযোগস্থলে সৃষ্টি রেনে জলপ্রপাতের। এখানেই গড়ে উঠেছে কেন ঘরিয়াল স্যানচুয়ারি।
রেনে নদীর নামকরণ
রেনি বা বর্ষার মরশুম থেকে। বর্ষায় এই
জলপ্রপাতের প্রবল জলধারায় ভেসে যায় ৩০ ফুট গভীর
গিরিখাত। পাথরে ধাক্কা খেয়ে প্রবল শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়
জঙ্গল জুড়ে। যৌবনবতী নদী ও জলপ্রপাতের বাষ্পীভূত জলকনায়
সাদা হয়ে যায় চারপাশ।সেই রূপ
দেখার মতো।
কিন্তু শীত ও
গ্রীষ্মে এই নদী হয়ে যায় সরু ফিতে। জলপ্রপাতও
শুকিয়ে যায়। আর তখনই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে লাল, ধূসর, কালো, হলদে রঙের মিশেলের
এক অদ্ভূত সুন্দর গিরিখাত। প্রকৃতির সে আর এক রূপ।
পান্না জাতীয়
উদ্যানের বনকর্মীরা জানালেন, লক্ষ লক্ষ বছর
আগে এখানেই নাকি আগ্নেয়গিরি ছিল। বহুদিন তা মৃত। আগ্নেয়গিরির খোলা মুখে এখন নদীর জল জমে থাকে। ভূগোলের ছাত্ররা এখানে সার্ভের কাজে আসেন।
আসেন পর্যটকরাও। কিন্তু খাজুরাহোর মন্দিরের কথা সকলে জানলেও, সেভাবে প্রচার নেই রেনে জলপ্রপাতের।সম্প্রতি বন দফতরও এই এলাকার পর্যটনের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে।
কী ভাবে যাবেন
খাজুরাহো
বিমানবন্দর থেকে রেনে জলপ্রপাতের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। ট্যাক্সি ভাড়া করে সেখানে যাওয়া যায়।
সাতনা
রেলস্টশনে থেকে খাজুরাহোর দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। রেলপথে হাওড়া, দিল্লি, মুম্বই, ভূপাল সব
জায়গা থেকেই সাতনা পৌঁছনো যায়। সেখান থেকে সড়কপথে খাজুরাহো।
No comments:
Post a Comment